কামনার পর তুমি এক ভিন্ন পুরুষ
মস্তিষ্কে পোকার উপদ্রব বেড়ে গেলেই সিগারেটের ধোঁয়ায় ঝাপসা হতে থাকে চার দেয়ালের রুম।
অন্ধকার জোনাকির আলো ছড়ায় মৈথুনে মৈথুনে-
শিরা-উপশিরায় রগরগে খবরটা ডামাডোলের মতো বাজতে থাকে,
প্রেয়সীর উপস্থিতি তখন জানান দেয় নানান আলোকে।
ক্লিওপেট্রা কিংবা হেলেনকে পেছনে ফেলে এগুতে থাকে কোনো এক নগরীর দিকে,
দিগ্বিদিক জয় করা যোদ্ধার মতো এলিয়ে দেয় ক্লান্ত শরীর।
কিছু সময়ের প্রেয়সী তখন সিগারেটের শেষাংশের মতোই অ্যাশট্রেতে বন্দি থাকে।
কামনার পর তুমি এক ভিন্ন পুরুষ।
যোগাযোগ
কোয়ালিটি-কোয়ান্টিটির দাঁড়িপাল্লায় আমি,
অথচ সেপিয়া সেক্সুয়ালিটির গুণ ‘না’ শব্দটি বিষিয়ে তুলে তোকে।
আমার ধ্রুব আজ বিমানবন্দরে পা রাখতেই কেঁপে উঠলো আকাশ,
তোকে হ্যাঁ বলি কী করে?
মিডল ক্লাশের মানসিকতা তোর জন্য না।
তুই উচ্চ আসনেই ভালো অভিনয় করছিস।
গণতন্ত্র
কাঁদতে দেখেই মা আমার হাতে তুলে দিলেন খেলনা,
আদতে এটা অনেকটা রসময় ফল।
ইন্দো-ইয়োরোপীয় থেকে বাংলায় পদচারণ, কিছুটা নিশ্চলতা আবার বিরামহীন পথচলা
সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধে অজস্র ক্ষুদ্রের ম্লেচ্ছাচার কিংবা কিংবদন্তির ঝাঁজরা করা বুক ;
কুমারীর পূজার শেষে পবিত্র হাসি অথবা অপ্রকৃতস্থ গর্জনে বুনো জঙ্গল ডিঙিয়ে ঘরে ফেরা।
আহত পাখির উন্মাদনা থেকে শুরু করে বয়স্ক বুড়োর ঘোর কুয়াশা কেমন ইউজলেস;
সত্য সবসময় কঠিন বন্ধু।
শৈশবের খেলনার মতো এত বড় পেয়ার কে আছে আঁকড়ে ধরি তাঁকে।
প্রচণ্ড আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে প্রথমেই বিদ্ধ হই কাঁটার আঘাতে।
হরতাল, প্রতিবাদ, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সম্মেলন আরও সব
জিনিসের জন্মর ভেতরে আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় দেখলাম নাম তার গণতন্ত্র।
১ Comment
খাদিজা ইভের কবিতা আগে পড়া হয়নি আমার যদিও নামটি অপরিচতিনয় আমার কাছে। আজ এই তিনটি কবিতা পড়লাম। তিনটিকবতিাই ভালো লাগলো। তার কাব্যভাষায় নিজস্বতার ঘ্রাণ আছে, শক্তি আছে, প্রবল আত্মবিশ্বাস আছে।