পিছুটান
এই নাও,
বাম হাতের স্পর্শ দিলাম তোমায়;
যে হাতে প্রেমের পরশ জাগে,
সেই নির্লিপ্ত অতুষ্টি কালে ঢেকে রেখো সেই রাত্রির মমতা।
প্রাপ্তির সেই অধিক কাম্য,
অন্ধকারের সম্ভাব্য দিশায় আলোর এক আগ্রহতে
ছায়াতে মায়াতে তোমায় জড়িয়ে যাবো…
অজস্র জন্ম ধরে হেঁটে যাবো,
পদব্রজ বিভ্রম স্মৃতির মাঝে উঁকি দিয়ে যাবে এই জন্মের পিছুটান।
এই পরিচ্ছন্ন অধ্যায়ে অুনুভবে অদৃশ্যের আশ্বাস দিয়ে যাবো,
ঐ সৌন্দর্যের জীবন পিছু ডাকে।
অকুলীন এই দিনে,
সংযত অক্লান্ত সুহৃদ চিরচেনায় আবার যদি ফিরে আসে সেই প্রাণ,
সোনাঝরা রোদের মাঝে খুঁজে নিয়ে একটু আদর দিও প্রিয়।
ঢেকে রেখো সেই নিঝুম স্বপ্নতরু,
সাজানো সেই একান্ত তিমিরের নিবিড় বেলায়,
অনন্বিত অসময়ের কালে যত্ন নিও প্রিয়।
মমতায় যতো পারো শুশ্রূষা সেবা দিয়ে যেও,
বিনয়াবনত রাত্রি ঝড়ের কায়ক্লেশের বুকে পিছুটান রেখে যেও প্রিয়।।
সম্পর্ক আর মনের কথা
অসহায় প্রাণটাও যে বেশ
সুনিপুণ,
অবহেলার সুষ্পষ্ট মরচে পড়া
দাগ,
নিঃসঙ্গ জীবন আর মানুষ…
শুধু অন্ধকারটা এখন আবছায়া হয়ে
উড়ছে ঝাঁক বেঁ’ধে।
মানুষের প্রতি অবিচার আদৌ শেষ
হবার নয় …
চোখে আত্মপ্রত্যয়ের দৃষ্টি,
নিচ্ছিদ্র পাহারায় জীবনটাকে
শুধু আগলে রেখে যায়।
জন্মকাল থেকেে দেখা সেই
খোলা আকাশ,
অনাবিল হাসির মাঝে ঝকঝকে তুষার,
কোথাও অন্ধকার,
কোথাও বা আবার প্রবল স্পৃহা,
রুদ্ধস্বরে নিঃশব্দ আঁধার,
প্রতিনিয়ত যুদ্ধরত জীবন,
বিষাক্ত সব ছাল পাতা ফুল,
পরিত্যক্ত তীরের কিনারায় শুধু
ব্যঞ্জনা নিয়ে ভেসে যায়…
দুরন্ত কিশোরের স্নিগ্ধ মধুময়…
আবেগের তূর্ণগতিতে শুদ্ধ
ঘন রঙের বর্ণালী,
শব্দে মুখর হয়ে বর্ণচ্ছটা একটা
আকার বদলে দিয়ে যায়।
স্নিগ্ধ বর্ণলেপন দিয়ে আঁধারে
মেশা মেঘের বর্ণবিভা,
অর্থ নীরব উদ্রেক মিশিয়ে
জীবন অতলে কত খুশির অগাধ,
একটা অস্থির সম্মোহনে,
অপার বিস্ময়ে চোখে শুধু সুবিচার
ফুটিয়ে তোলে।
উচ্ছ্বাসের আড়ম্বরহীন
জীবনটা অথচ কত লাবণ্যময়ী,
কিন্তু বহিরঙ্গের মতো একেবারেই
ঝলসিতই নয়…
এ নিবিড় চিত্রপটে
অহমের উষ্ণতায় শুধু একটা
নিরবচ্ছিন্ন মুর্ছনা,
আর্তনাদে স্বপ্ন ছুঁয়ে শুধু সম্পর্ক
আর মনের কথা,
স্মৃতিকথার জোরালো
স্নেহের হৃদয় নির্গত মৃদু,
সিক্ত চোখের কোলে অলক্ষ্যেই
শুকিয়ে যায়।।
জীবন আর গল্পের কথা—
নিষ্পলক চোখে অসমাপ্ত সব
রঙিন স্বপ্ন ছিলো,
চোখের রঞ্জন রশ্মিটাও এখন
নিশ্ছিদ্র নিবিড় ।
ব্যয়বহুল জীবনের ভাগ্যটাও
বেশ নির্ণীত হয়ে আছে…
বেঁচে থাকাটাও ভীষণ দুর্বিষহ হয়ে ওঠে,
নীল রঙা চিঠি,
একদৃষ্টিতে চোখে চোখ রেখে নিশ্চুপ
একটা হতাশা,
বিমূর্ত বৃষ্টির উল্লাসে
অর্ধেক আকাশটা শুধু খুশিতে
উদ্বেল হয়ে রয়েছে।
মাখা কুঞ্জপথে অজস্র প্রপাত
অদৃশ্য তুলির আঁঁচড়ে বর্ষা যখন ভেসে আসে…
ভেজা বৃষ্টির জলস্ফীতি
চোখে নতুন চাহনি,
জল ছুঁই ছুঁই সারাক্ষণে
যে বৃষ্টি তোমায় স্পর্শ করে গেছে…
মাখা বৃষ্টির জলের বিচিত্র রঙ,
থেমে যাওয়া জীবনের কলরব
এভাবেই আকুল হয়ে ওঠে।
শোভিত ফানুসের আলোকাবরণ,
তপ্ত ধোঁয়ায় আকাশ জুড়ে এক
নিমেষে উধাও হয়ে যায়।
জীবন আর গল্পের কথা,
ছন্দে ছন্দে গানের স্লোগান
নির্মিত নতুন পথে অঝোরে বৃষ্টি
ঝরে গেছে।
সম্পন্ন শব্দের সাথে প্রত্যয়ের
মিলন,
থমকে থাকা স্তব্ধ ঘাট
রক্ত মাখা যন্ত্রণার বিষাদ…
অবিরল সব মনের লেখায়
বিস্তৃত ভাবে চেয়ে থাকে।।