জল
জলের ভেতরে আমি
বেঁচে থাকতে চাই
নদীর ভেতরে সাগরের ভেতরে
যেভাবে জল বেঁচে থাকে
জলের ভেতরে তিমি, কুমির
রুপোলি ইলিশ
আর চারপাশে জনপদ
তীর্থস্থান, শ্মশান
প্রথম আলোয় জেগে ওঠে
জলই জীবন
অহরহ মৃত্যুর চৌকাঠে
দাঁড়িয়ে
দু চোখ নাচায়
জলের ভেতরে আমি
বেঁচে থাকতে চাই
যেভাবে জল চোখের কোণে
বেঁচে থাকে অজেয় কবিতা হয়ে।
নিশিঘোর
ব্ল্যাকবোর্ড থেকে গড়িয়ে পড়া কথা
স্তব্ধ আজ বন্ধ ক্লাস রুমে
মেধা উত্তীর্ণ ভাবী শিক্ষকেরা
গান্ধি, মাতঙ্গিনী মূর্তির নীচে
আরব্যরজনীর মতো
বিনিদ্র শত শত রাত জাগে
আচার্য ভবনের আনাচে কানাচে
ষড়যন্ত্রের জাল
স্বাধীনতার পঁচাত্তর পেরোনো
শিক্ষামন্ত্রীকে সপার্ষদ নিয়ে গেছে
গরাদের নিভৃত কুঠারিতে
ঘন নিশিঘোর ব্লাক বোর্ড, চকখড়ি ছুঁয়ে
খেলা করে আজ
নিশিঘোর চকখড়ি চেনে না…
থাকবো বলে তো আসিনি
শব্দহীন জ্যোৎস্নার ডানায় ভেসে
এসেছি এ খুলনার খেয়াঘাটে
টাবুরে নৌকোর ছলাৎ-ছল
বাঁধানো সিঁড়ি নর্তকী এখন
সামনে মাজারে জোনাকি চাঁদরে
অন্তহীন আলোর আকাঙ্ক্ষা
জমিলা তুমি কি এখনো
কৃষ্ণচূড়ায় সেজে
বসন্তের ডালি নিয়ে
বিরহ সাজাও
থাকবে বলে তে আসিনি
রূপকথার মতো গাঙের জলে
হিরণ্ময় শুশ্রূষা রেখে
ভূমিশয্যায় সাজাবো আবার
খুলনার খেয়াঘাট বিস্তৃত বিরহ জানে
অবিনশ্বর প্রেম চেনে না।