বেহুলা বিশ্ববিদ্যালয়
হাজার বছর ভাসা প্রত্নরাঙা দিন-লখিন্দরের লাশ
ডুবে যায়—গাঙুড়ের জল ছেড়ে
প্রযোজিত ফোরকালার বালুর মোহনায়;
হায় প্রযোজনা! হায় বালুর বাহার!
অথচ সকল অর্ঘ্য—মনসার পায়ে নয়.
জমা হয়ে আছে দ্যাখো
তোমারি বিভ্রান্ত পদমূলে।
অতএব খুলে রাখো গ্লাস;
প্রণয়ী হতাশ হলে, শুভঙ্করের হাতে—
ধুমধাম শূন্য পেয়ে যাবে যে তুমিও!
অথবা তুমিই বলো—এমন বিজয়ের পরও
সে কেন আর দাস হবে—
পুরাঘটিত অতীতের অলীক খোয়াড়ে?
বদলে-যাওয়া ঈশ্বরের পুরোনো উঠোনে আজ
প্রকৃতিতে শুদ্ধ সমাবর্তন
বৃক্ষের পোস্টারে দোলে আলোর শপথ,
অতএব মনপ্রাণ সঁপে
সেই উৎসবে এসো আমরাও যোগ দেই।
২ Comments
অথবা তুমিই বলো—এমন বিজয়ের পরও
সে কেন আর দাস হবে—
পুরাঘটিত অতীতের অলীক খোয়াড়ে?
কী মারাত্মক চমৎকার সৃষ্টি!! অভিভূত হলাম। উল্লিখিত চরণ তিনটির মোহ, স্নিগ্ধতা, সুমিষ্টতা আমার অমৃতের মত লেগেছে । আবারও বলতে বাধ্য হচ্ছি,ওয়াও,জাস্ট ওয়াও।
কবিতার পাঠক নাই নাকি মন্তব্য করতে চায় না কেউ!