আততায়ী ভাস্কর্য
কপালে লালটিপ নেই নিরালংকার শরীর
লিপস্টিপহীন ঠোঁটে কী দারুণ আভা
তবুও তুমি সুদীর্ঘ কবিতা আমার।
সাদা শাড়িতে নিঃস্ব করা
কী দারুণ আততায়ী ভার্স্কয তুমি
আমার বুকে এঁকে দেওয়া সুদীর্ঘ ক্ষত।
ভুলে যাওয়া বলে কিছু নেই, তাই ভুলিনি
ভেজা ঠোঁট, নাকের ওপর জমা ঘাম
বুকে লাগা আবহমানের ছোঁয়া।
তুমি মনখারাপের পাখি
বিষে ভরা শব্দ
আমার কবিতার।
ছবি ও কথা
এমন ছবি দিও না
বুকের ভিতর ছলাৎ-ছলাৎ ঢেউ তোলে।
এমন কথা শোনিও না
পোড়া বুকে জ্বালা ধরে।
ছবি ও কথা
ঢুকে যায় হৃদয় ভিতরে।
মগ্ন আগুন
হয়তো এভাবে আর হাঁটবে না পাশাপাশি
সোহরাওয়ার্দীর কাঁকর বিছানো পথে
তবুও মন ছুঁয়ে থাকবে স্বপ্নের গভীরে
ফাল্গুনের ঝরা পতা ল্যান্ডস্কেপ হয়ে
আড়াল করবে না তাদের বেদনা, মগ্ন বসবাসে।
হয়তো সেদিনও চুমুক দিবে সোহরাওয়ার্দীর লাল কাঁকর
তাদের যন্ত্রণা দগ্ধ হৃদয় নিয়ে প্রতি পদক্ষেপে
তখন তৃতীয়ার চাঁদ আকাশে মুখ রেখে
আছড়ে পড়বে সঙ্গিনীর মরাল গ্রীবায়।
হয়তো তাদের হৃদয় থেকে সুগন্ধি ঘ্রাণ
ছড়াবে মৃদু স্বস্তির গল্প
হয়তো এসব গল্পেও মিশে থাকবে বিষাদের যন্ত্রণা
তারপরও জমবে ভালোবাসা তাদের ক্ষুধিত প্রাণে।
আঁধার প্রেমজ রঙ নকশা
অনিশ্চিত ধ্বংস
তবুও হৃদয়ে জ্বলে মগ্ন আগুন।