আকাশের জঠর থেকে এইমাত্র যে সূর্যের জন্ম হলো
তাকে নিয়ে এখন আমার দরকষাকষি চলছে।
সূর্য নিলামে উঠেছে। নিলামে উঠেছে পাতাল নামক মাতৃগর্ভটিও।
চড়াদামে এই দুটোই কিনে নিতে পারবেন যিনি সেই
সাথে পাবেন, মাটি বাতাস এবং জল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
বিনামূল্য কথাটি আপনি শোনেননি ? শুনেছেন
নিশ্চয়! না শুনে থাকবেন কী করে।
বোবা কালা সেজে আছেন, থাকুন!
‘যেমন খুশি তেমন সাজো’র এই মেহফিলে
আপনাকে শুনিয়ে দেওয়া হবে ঠিক নানাভাবে। নানা সুকৌশলে।
আমি এই বোবা ও কালাদের ওপরেও ধরেছি বাজি আমার।
মনে ও মগজে পঙ্গু যারা তারা পাবেন বিশেষ সুবিধাসহ বিশেষ বিশেষ ছাড়!
‘ছাড়পত্র’ কবিতাটি আপনাদের মনে আছে কারও? বিশেষ করে ওই ক’টা লাইন?
‘যতক্ষণ দেহে আছে প্ৰাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি’
এই ক’টা লাইন ঘুমোতে দেয় না। সারা রাত জাগিয়ে রাখে।
দিকভ্রষ্ট করিয়ে ছাড়ে! আছড়ে পিছড়ে মারে আমাকে দিনের শেষে!
তাই ঠিক করেছি সমস্ত কবিদের জঠর এবং জঠরজ্বালা সব কিনে নেব আমি।
কবিদের চেয়ে সস্তা আর কী হতে পারে! এই বাজারে।
একেকটা সূর্য কবিদের হৃৎপিণ্ডে বসিয়ে দিয়ে বলব,
‘সূর্য পোড়া ছাই হওয়ার আগে তোমাদের কী আর
জ্বলে উঠতে নেই!
নিভে গেছ! একেবারেই কি নিভে গেছ —চিরতরে!
আমি তোমাদের জঠর জননী বলছি!
চিনতে পারছ, আমাকে?