দৃশ্যের অন্তরালে
অদৃশ্যে প্রতিনিয়ত শৃঙ্খলিত হচ্ছি
প্রতিদিন। একটু একটু করে…
ঠিক যেন নূপুরের ধ্বনির মতো
রিনিকঝিনিক…রিনিকঝিনিক…
কী এক অপার্থিব সুরে সুরে
আবেশের আবীর মেখে
খোলসের আড়ালে নিজেকে বিকোই।
অন্তরালে ঠিকই চোখে চোখে খেলে যায় মায়ার জাদু,
কঠিন খোলসের পরশে
চন্দ্রাহত মানুষের মতো
আহত এ’ মন
পা বাড়ায় অচেনা পথেই।
ডুবসাঁতার
তোমার লোভনীয় কোমল ত্বকের তলায় লোনা প্রলেপন,
দেখে
আমি কিন্তু ভালোবাসা মাখিয়ে খাচ্ছি। তোমার ঠোঁট
জিহবা পেরিয়ে আলজিব ছুঁয়ে…আমার তীক্ষ্ণ
মাংসাশী দাঁত
ফালাফালা করে খুবলে নিচ্ছে তোমার উষ্ণ-নরম
আর ঢেলে দিচ্ছে তামাক মদে জারিত বিষক্ত লালা।
আমার বকুল ফুলের পাপড়ি ভাসছে তোমার আদিম পিচ্ছিল গুহায়
পিছলে গড়িয়ে পড়ে সাঁতরাতে সাঁতরাতে ডুবছি উঠছি
প্রাগৈতিহাসিক মাতৃকা মূর্তির উপসনায় পূজারির
বেশে।
তুমি কি পুড়ে মরছ তীব্র তরলে!
বুঝতে পারছ, রঙহীন রসেরও থাকে ক্ষমতা কেমন!
শিকলবন্দি স্বাধীনতা
স্বাধীনতা শুধুই উদযাপনের!
কত রাউন্ড গুলি
কত টন ফুল
আর, কত শত আতশবাজি ফুটানো হলে হয়ে যায় প্রাপ্তি?
রাষ্ট্রের সিলমোহর মেরে
উচ্ছিষ্ট ভোগী নাগরিক
অধিকারের সিন্নি গিলে হররোজ।
রাষ্ট্র সাজে সাতরঙা সুরে
দুষণের ভারে নদীমাতৃকা হারায় জ্যোতি
দিশা খুঁজে নগরের নর্দমায়,
ভীষণ আবেগে বিভীষণ আগুন জ্বালায় ধর্মতলায়।