দুই তীরে
দূর হতে কাশবন বেশ ঘন দেখায়
কাছে যাওয়ার পর দেখা যায়,
এখানে সেখানে থোকা থোকা!
রাতের আকাশে হাজারও তারার
সৌন্দর্যে ভরা মিতালি; কিন্তু
মনের আকাশে ছড়ানো ছিটানো
তাই বলি কি চেনার একরূপ?
আর জানার হয় আরেক।
নদী যেমন দুই পার ও দুই তীরে
তার আবেগ জড়িয়ে বহমান!
মানুষের জীবনটাও-
ঠিক দুই তীরে বহমান!
পূর্ণতা কিসে
আমরা সুখের মুহূর্তগুলো বেশ
আনন্দে হৈচৈ করে জানান দেয়
সবার মাঝে;
কিন্তু দুঃখের মুহূর্তের পাশে
কেউ দাঁড়াতে চায় না!
সুখ দুঃখ যদিও পাশাপাশি অবস্থান
কিংবা পরপর আসে।
তোমরা শিল্পের যেদিকেই তাকাওনা কেন?
দেখবে সবকিছুর অন্তরালে-
বিরহ যাতনায় মোড়ানো!
অপূর্ণতায় রয়ে গেছে বহুত কবি জীবন,
ছটফট করছে তাদের লেখার যৌবন!
হয়তো তাদেরও প্রেষণায় তাড়া দিত
আরও দুটি বই প্রকাশের!
হঠাৎ অপুর্ণতায় হারিয়ে যাওয়া,
পূর্ণতা কিসে বলতে পারো?
প্রাণের স্পন্দন
‘মা’ তুমি কি জানো, বা বলতে পারো।
তোমায় ডেকে কেন আমরা-
হৃদয়ে এত পাই শান্তি?
কেনই বা মনে জাগে, বারবার
তোমায় ডাকার আকুতি!
মা ! আমি তো
লেখাপড়া করলাম অনেক,
বুঝলামও অনেক কিন্তু বলি কি?
বইয়ের ভাষায় লেখকেরা
অনেক কথায় বর্ণনা করেছে,
তারপরেও এ মনে শুধুই খটকা লাগে
একটি কথা,
তাহলো আমার ‘মা’কে
ডাকার মধ্যে যে প্রাণ ভরে ওঠে
প্রাণের স্পন্দনে হাজার মায়ার সৃষ্টি হয়
তা কোন লেখক তার লেখায় প্রকৃত বিশ্লেষণ
করতে পারে নাই !
লক্ষ কোটি ভিড়েও মাগো –
আজও খুঁজি তোমার মুখ,
সব থাকতেও পাইনা আমি
এই হৃদয়ে একটু খানি সুখ।
বেঁচে থাকবো যতদিন বাংলা মাঝে
ডাকবো মা তোমায় প্রাণভরে,
ভুলিবো না কোনোদিন তোমার চরণ,
আসেও যদি মা আমার মরণ।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
বাংলা আমার মায়ের ভাষা,
বাংলায় বাঁধি সুর –
সেই ভাষাতে মাকে ডাকি,
লাগে বড়ই সুমধুর।।