হাত বাড়িয়ে দে
দু’হাত বাড়িয়ে দে
জীবন আমার ছন্নছাড়া
পাড়লে বুকে নে।
চাই না এমন জীবন যাপন
তবুও চলছে যে।।
ভালোবাসায় সিক্ত হলে
পুড়বি না আর তার অনলে।।
সুখে দুঃখে একটা জীবন
পাড় করি আয়রে।
এই জীবনের সব চলাচল
না বুঝলেই হয় যে অচল।।
জেনে বুঝে তাই তো এখন
হারাই গহীনে।
পাখি
পাখি একা একা উড়ে গেল, আপন ঠিকানায়।
সে আমারে রেখে গেল, এ কোন যন্ত্রণায়।।
গোছানো ঘর হইল রে পর, মহাকালের ঘরে।
হেরে গিয়ে জিতে গেলে, রইলা যে অন্তরে।।
ও ঘর তোমায় সুখ দিলেও, দিল না আমায়।
তোমার কাছে আসব পাখি, পথে হবে দেরি।
ওপাড় থেকে আর ডেকো না, কষ্ট করি ফেরি।।
দহন জ্বালা বুকে নিয়ে, হচ্ছি অসহায়।
আমি ধন্য
আমি ধন্য আমি ধন্য আমি ধন্য
এই জীবনে তোমায় পাওয়ার জন্য
ভালোবাসা দিয়েছ যা পুরোটা অরণ্য।।
তুমি, হাত রাখ যেই হাতে
আমি, হারাই তোমার সাথে
মান অভিমান সব ভুলে যাই
ওসব যে নগণ্য।
আমি, তোমায় নিয়ে হারাই তেপান্তর
তুমি, দেখাও যখন হুডখোলা অন্তর।।
দেয়া-নেয়া সমান হলে
হই দুজন অনন্য।