হেমন্তের মাথাভাঙা
হেমন্তের মাথাভাঙা—আঁকাবাঁকা তীরে
শুয়ে আছে যমজ দেবী—ভেনাস আর আফ্রোদিতি
মাঝখানে অপ্সরী—জলদেবী
নিটল জলে বকের মুখ, হিজল-অশ্বত্থের ঝরাপাতা
কফির ধোঁয়া, হাঁসের সারি, রমণীর লজ্জা
শালিক-ঘুঘুর লুটোপুটি, বেজির ফাঁদ, পুঁইয়ের মাচা
শিমের লতার ফাঁকে শেয়ালের চোখ—
লিয়োনার্দো ভিঞ্চি এঁকেছেন ল্যান্ডস্কেপ।
দিনে দিনে সবুজ যাচ্ছে ধূসরের পথে—
ধূসর যে মৃত্যুর কাছাকাছি।
মনে নেই নীলনদের উপাখ্যান?
মনে নেই ভলগা-সিন্ধুর মাতৃত্ব?
জোয়ারও ধূসর— জোয়ারে ধূসর দেখি।
বিপদ
তার ঠাণ্ডা চোখে তাকাই।
সুখের প্রাসাদ আছে ভেবে এগিয়ে যাই
দেখি, চেরির মতো লাল ঠোঁটে বিপদ লুকিয়ে
চোখে ভাসে ট্রয়।
ফিরে আসি অবশেষে
সবুজে, মৃত্তিকায়।
বাঙালির চরিত্র
বিস্তীর্ণ মাঠে গেলে মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়
আইলের পর আইল
সবুজ আর সোনা আঁচলে ছোট ছোট ভাগ।
একটু আগে চায়ের দোকানে বা বাজারে মিথ্যা দেখেছি!
এক চা-কাপে শত-শত মানুষের ঠোঁট
বাজারে ও যানবাহনে পরস্পরের ঘষাঘষি তাহলে মিথ্যে?
পুনঃপুন বণ্টিত সম্পদই বলে দেয় মানুষের আসল চরিত্র
হিংসা ও লোভের প্যারামিটার।