স্নান দৃশ্য কিংবা কালের লিওনার্দো
কাচারি ঘাটে অস্টমির স্নান হচ্ছে-
সুলেখা তুইও নেমে আয় জলে
স্নানোৎসব শেষে তোর সিঁথিতে আজ পরিয়ে দেবো
ভালোবাসার রঙিন সিঁদুর
কাজলটানা চোখে স্বপ্ন এঁকে
দেহের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে দেবো
কামনার এক শীতল পরশ!
তোর ভারী নিতম্বের দিকে চেয়ে চেয়ে
বুকের উপর লেপ্টে থাকা ভেজা কাপড়ে
স্নানের দৃশ্যকাব্যে তোর ঈশ্বরের চোখেও আজ ভয়াবহ নির্লজ্জতা
কামনার গোপন ঘরে জটিল এক সুড়সুড়ানি!
সন্ধ্যায় রাস্তার ল্যাম্বপোস্টে নিয়ন আলো জ্বলে উঠলেই
তুই অন্তর্বাস খুলে মোনালিসার মতন লিওনার্দোর সামনে দাঁড়াবি
সারারাত আমি তোকে মনের মতন করে আঁকবো!
একটুকরো আক্ষেপ কিংবা বিষন্ন সময়ের ইতিবৃত্ত
এখন করো প্রতি বিশ্বাস নেই
অন্ধকারে খুঁজে ফিরি নিজের ছায়া
নাটাইয়ের সুতো ছিঁড়ে উড়ে গেছে কামনার রঙিন ঘুড়ি!
গ্রাম কিংবা শহরে বুভুক্ষু মানুষে সয়লাব
পকেটে সিকি আধুলিও নেই
পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা
চোখে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুর ক্ষতচিহ্ন
বাতাসে নিরন্ন মানুষের হাহাকার ওড়ে!
ছায়াবাড়িতে প্রেতাত্মারা গাইছে উচ্চাঙ্গসংগীত
ভেতরে চাঁপায়া রেখেছি একরাশ খিস্তিখেউর আর বোবাকান্না
ভয়ে বলতে পারিনা কিছুই!