হাতছানি
যখন
মাত্র ফেলা আসা বয়সের অভ্যাস,
বেমানান হয় দুঃস্বপ্নে দেখে ফেলা
নিজের মৃত্যুর মতো,
তখন এসো আমার ব্যস্ততম অবসরে,
যেখানে জীবনের পথটি
বৃত্তাকার ঘোড়দৌড়।
যখন চিন্তার যুদ্ধের দুশ্চিন্তায়
স্বস্তির ভাবনা হারিয়ে যায়,
আটপৌরে বাধ্যবাধকতায়,
তখন এসো আমার ব্যস্ততম অবসরে,
যেখানে চোখের ভাষা বোধোদয়ে,
কর্ণকুহরে ঠাঁই পায় না
যান্ত্রিক কোলাহল।
যখন বুঝতে পারা সত্যিটি,
নিজের আয়ত্ত থেকে
কোন অনুকূল স্বাভাবিকতার দখলে,
তখন এসো আমার ব্যস্ততম অবসরে,
যেখানে নিজের ভূ-প্রকৃতি,
মুক্তিবোধে মুক্তির ভাষা বুঝতে নারাজ।
খোঁজা
সে স্বস্তি খুঁজে ফিরে,
বার বার প্রসবিত কবিতারাজি
মিথ্যে হয়ে যায় প্রতিবার।
ক্ষণে ক্ষণে জন্মানো অনুভূতি
এক চুমুক মদের মতো
কখনো শান্তি দেয়,
কখনো না।
মাথায় নিয়েছি অনেক বাস্তব,
যার প্রতিটি অপরের পরাবাস্তব।
কোনটিতে আমি আছি,
কোনটিতে হয়তো,
কোনটিতে থাকতে চাই,
কোনটিতে থেকেও নেই,
আমি কি আছি?
না কি নেই?
কী-বা যায়-আসে তাতে।
ভক্ষণ করেছে সব,
নিষ্ঠুর এক সময়দানব,
গিলে খেয়েছে নিষ্পাপ শৈশব,
বাঁধভাঙা কৈশোর আর দুর্নিবার যৌবন।
শুধু আবার একটি জন্ম,
একটি প্রারম্ভ আমার,
ফিরিয়ে দেবে চিরচেনা আমিকে।