লজ্জা
তিলোত্তমারা অকাল বৃষ্টিতে ভিজে গেলে
কেউ খবরে আসে
কেউ থেকে যায় অন্তরালে
চোখের জলে হাহাকার , কিংবা
বুকের গভীর গোপন দীর্ঘশ্বাসে দিন গুজরান—তখনও কি তুমি
চাঁদের কোলে বসে, বসে
হুতোমি ভাষায় শ্লোক আওড়াবে?
সুশীল, তুমি দেখছ—শুনছ, তবুও
মুখে রা নেই
কিছু পাবে, কিছু পেয়েছ কি না জানি না, কিন্তু
কিসের আশায়, প্রফুল্ল চিত্তে
তুমি খেয়ালি মনে , হুতোমি ভাষায় কবিতা লিখছ
বোধহয়, এভাবে লিখলে
রাজকবি হওয়া যায়!
কী লজ্জা! কী লজ্জা! কী লজ্জা!
প্রাণের আর্তি
আঁতেল ভাবাপন্ন—পেঁচি বুড়ির মুখে ছুঁচোর কেত্তন
তাইতো গণতন্ত্রের আসন্ন মৃত্যুযোগ।
ক্লেশিত মনে নতুন করে এক ভয়াবহ দিন এসেছে।
তুমি কী এমন সবজান্তা হয়েছ?
ভয়ে মুখ খুলছে না
তোমার ভাবধারায় অনুপ্রাণিত যত গুরু ভাই।
শান্তির ঘরে কান্না সৃষ্টি করতে তুমি
পিছপা হতে অনিচ্ছুক।
তুমি আস্ত এক বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশিক্ষণ শিবিরে পড়ানো হয় বিনামা চিঠি লেখার যত নিয়ম
তাইতো ওইসব ছাত্রের হাতে হিজিবিজি লেখা ,
নানা বিষয়ে জ্ঞানলব্ধ ছাত্র
শংসাপত্র হাতে নিয়ে
. যা নয় তাই করে বেড়াচ্ছে।
হাড়হিম করা সময়ে
প্রাণের আর্তি শুনতে পাচ্ছ—
মুক্তি পেতে চাইছে যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষ
. মুক্তি দেবে তুমি !
সিঙ্গুরের সুরতহাল
সিঙ্গুরের দীপ্তিমান মাঠে এখন
অন্ধকারের ঢেউ।
তুমি যা চেয়েছিলে, তা হয়নি বরং
যা পেয়েছিলে তাও নষ্ট করল তোমার অনায়াস ভঙ্গি।
কী অদ্ভুত !
মানুষকে বোকা বানানো গেলেও
ইতিহাসকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যায় না
আজ তোমার শাড়ির ভাঁজে চোরকাঁটা, চুলে বিজবিজে পোকা।
এরকম না হলে গিন্নি !
তোমার মতো স্ববিরোধী ও আত্মপ্রবঞ্চক আর
দ্বিতীয়টি আছে কি না
আমার জানা নেই।
যার জন্য চোখের জল উৎসর্গিত
তারই হৃদয়ে জড়ো করেছ বিষাক্ত বায়ু কিংবা বিধ্বংসী বিদ্বেষ
তোমার মর্জি মাফিক চললে ভালো , না চললে
রণশিঙ্গার সুরে বেজে ওঠে
প্রশ্ন চিহ্ন।
সিঙ্গুরের পাথুরে মাটিতে ছিটানো রাইবীজ একদিন
স্ববিরোধী ও আত্মপ্রবঞ্চনার মাঝখানে কী বলে উঠবে—
এতদিন পরও পাইনি জল সার বিষ !