অস্তিত্বের খোলস
অস্তিত্বের খোলসে লাশ ভরে আমি হেঁটে বেড়াই
তুমি বেঁচে আছো তো?
গণতন্ত্রের প্রচ্ছদে নিয়ম করে এগিয়ে চলে
রক্তের ভেতরের স্বৈরাচার
ধর্ম ব্যবসা বরাবরই লাভজনক
যদি সিংহাসনটা অধিনে যায় ধৃতরাষ্ট্রের।
সুন্দরবনের মতো ছিঁড়ে যায় আমারও শ্বাসনালী
তবুও ঝলমলে আলোর বুদবুদে
বিভোর থাকে মন।
যখন হুইস্কির বোতলে রক্ত ঢেলে
নেশা জমে ঢের বেশি
তখন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পারফিউমকে হার মানায়
যে কোনো লাশের গন্ধ
ভাঙনের নদীর স্রোতে আত্মাহুতি দিতে দিতে
এগিয়ে চলে গড্ডালিকা প্রবাহ…
অস্তিত্বের খোলসে লাশ ভরে হেঁটে বেড়াই আমি
তুমি বেঁচে আছো তো?
ভাবনা
প্রবাহমান কালের সাক্ষী হয়ে অনুভূতি গিলে ফ্যালে রোদ্দুর
অথচ ফোঁটা ফোঁটা শিশির বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম
ভাবনার অতলে!
ফিকে হতে হতে তুমি হঠাৎ-ই স্পষ্ট হয়ে ওঠো
আমার আঙ্গুল স্পর্শ করে তোমার অবয়ব
অথচ আমি জানি
এ তুমি তুমি নও
তবুও প্রশান্তি আমাকে ঘিরে থাকে
আমাকে ঘিরে থাকে বিষাদ।
জানালার গ্রিলের ফাঁক বেয়ে নেমে আসা
দাম দিয়ে কেনা
যে চন্দ্র-জলে আমরা ভিজেছিলাম কিছুক্ষণ
তা লেপ্টে থাকে সময়ের পরতে পরতে
সহস্র শতাব্দী জুড়ে।
ঘনিভূত অতীত, বর্তমানকে বড় সস্তা করে তোলে
স্বপ্নময় ভবিষ্যত ধীরে ধীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিনষ্ট হয়।
আমি বেঘোর ঘুমে
কেবল তোমাকেই হাতরাতে থাকি
মনের কি আর মনে থাকে, তোমাকে যায় না ছোঁয়া!
তুমি কেবলই ভাবনার জটের
সূক্ষ্ম কারুকাজের সেই মিহি সুতো
বড় নরম হয়ে হৃদয়ে ঢুকে যাওয়া
মোহনীয় বাঁশির সুর
আমি আরশিতে কেন তোমাকে দেখি না!
তোমাকে না দেখার ছুতোয় কেন আমাকে দেখি না!
ভালোবাসা
প্রচণ্ড ভালোবাসতে ইচ্ছে করলে
তাকে বিষ ছুঁড়ে দিই
সে অমৃত ভেবে পান করে
তৎক্ষণাৎ ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
নিরলসভাবে শুষতে থাকি সে বিষ
আমিও অমৃতের স্বাদে বিহ্বল হয়ে পড়ি!